যাঁরা মামলা বাণিজ্য করছেন, চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে’—এমন কঠোর বার্তা দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের আর পিছু হটার সুযোগ নেই যদি জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকে। গতকাল কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানায় এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ পথসভা ছিল এনসিপির চলমান ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ। সেখানে বক্তৃতায় হাসনাত বলেন, “আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের বিশ্বাস দেয়, পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে দুর্নীতিবাজরা আর পালানোর জায়গা পাবে না।”
তিনি স্পষ্ট করেন, দুর্নীতি রোধে সর্বপ্রথম চাই নিজেদের ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করা। “নিজের বাবা হলেও যদি দুর্নীতিতে জড়িত থাকেন, প্রশ্ন তুলতে হবে। ৩০ হাজার টাকার বেতনে কেউ কীভাবে ৪০ হাজার টাকার বাসায় থাকেন, সেটা জিজ্ঞেস করতেই হবে,” বলেন হাসনাত।
তাঁর ভাষায়, “এনসিপির কর্মীদের আলাদা হতে হবে অন্য দলগুলোর চর্চা থেকে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি—এসব কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এমন কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে হবে সংগঠনের ভেতর থেকেই।”
হাসনাত অভিযোগ করেন, অন্য দলগুলো এনসিপির নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু এনসিপি এতে ভয় পায় না বরং আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে। তিনি আহ্বান জানান, এক মাসের মধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠন গঠনের।
তিনি বলেন, “আমাদের লাখ লাখ কর্মীর দরকার নেই। দরকার সৎ, শিক্ষিত, ভালো মানুষ। পয়সাওয়ালা ১০০ চাঁদাবাজের চেয়ে একজন আদর্শবান মানুষ আমাদের জন্য অনেক বেশি মূল্যবান।”
এনসিপিকে শক্তিশালী করতে তিনি তৃণমূল থেকে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। বলেন, “আমরা জানি, এলাকায় গ্রুপিং রয়েছে। কিন্তু সব মত-পথ ভুলে একত্রিত হতে হবে এনসিপির পতাকার নিচে। আমরা কথা দিচ্ছি, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও কর্মীদের পাশে থাকব।”
এই পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam), সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন।
Post a Comment