রাজধানীর গুলশানে গত শনিবার সন্ধ্যায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের কাছে চাঁদাবাজিকালে চারজনের সঙ্গে হাতেনাতে আটক হন ‘সমন্বয়ক’ আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ। নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ৯ নম্বর নবিপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবিপুর বাজারের দক্ষিণ পাশের বেপারি বাড়ির বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
রিয়াদের বাবা আট বছর আগে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এখন দিনমজুর। রিয়াদও চলতেন আর্থিক কষ্টে। তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বছর না যেতেই তার গ্রামের বাড়িতে উঠতে শুরু করে পাকা দালান। হঠাৎ এমন পরিবর্তনে বিস্মিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজির টাকায় গত এক বছরে নিজ এলাকায় বড় বিল্ডিং তৈরি করেছেন তিনি। এবার কোরবানির ঈদে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনে আলোচনায় উঠে এসেছেন রিয়াদ। এলাকাবাসীর কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, রিকশাওয়ালার ছেলে কীভাবে এত দ্রুত কোটিপতি হলো?
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় প্রশাসনের কেউ কেউ বলছেন, রিয়াদের হঠাৎ এই অর্থবিত্তের উৎস নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
কারে বিশ্বাস করে মানুষ এখন
সাধারণ পরিবার থেকে শহরে উঠে আসা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া এমন আরও রিয়াদ সমাজের আড়ালে লুকিয়ে আছে কি না প্রশাসনকে তা খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
Post a Comment