বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচাইতে ক্ষতিকর এলিমেন্ট হচ্ছে সেসব ব্যক্তিরা যারা দল ক্ষমতায় থাকার সময় সর্বোচ্চ সকল প্রকারের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে। আর দল ক্ষমতায় না থাকলে এবং বিপদগ্রস্ত হলে অত্যন্ত কনভিনিয়েন্টলি হয় ঘাপটি মেরে থাকে বা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে গোপনে আঁতাত করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করে চলে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ক্যান্সারাস গোষ্ঠির আর্থিক প্রতিপত্তি থাকে, বিশেষ টাইপের এক শ্রেণীর চাটুকার সমর্থক থাকে।
এদের জন্যে কেবল যে এদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপদে পড়ে বিষয়টা শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক দলের নিষ্ঠাবান-কর্মঠ নেতা কর্মীরাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ নিষ্ঠার সাথে যারা সত্য পথের রাজনীতিটা করেন, তাঁদের অর্থ সম্পদ, প্রভাব তেমনটা থাকেনা, সে কারণে অনুসারীদের অর্থ বিলিয়ে মনোরঞ্জন অথবা টেন্ডারবাজি করে কাজ কিম্বা তদবিরে চাকরি/সুযোগ-সুবিধা করে দিতে না পারলে পলিটিকস করাও তাদের জন্যে বেশ দুরূহ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এরা ব্যক্তিত্ববান হয়ে থাকেন এবং আত্মমর্যাদা থাকায় শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্লজ্জভাবে পদলেহন করতে তাঁরা অপারগ।
রাজনীতির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে এসব ডেডিকেটেড নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়নের কোন বিকল্প নাই।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এটা বিবেচনায় নিয়ে সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতামত বা জরিপ চালিয়ে বিশ্বস্ততা, সততা, লিডারশিপ কোয়ালিটি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ভিত্তিতে সঠিক নেতৃত্ব বাছাইয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত।
এই মন্তব্য করেছেন
অনুসন্ধানী সাংবাদিক Zulkarnaim Saer sami
Post a Comment