ফের বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, লালমনিরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।


দুই দিনের টানা বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে; যা চলতি মৌসুমে তৃতীয় দফা।



মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৬ মিটার; যা বিপৎসীমা (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) থেকে এক সেন্টিমিটার ওপরে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়ছে। বর্তমান অবস্থা আগামী দুই দিন থাকতে পারে। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ও ৯টায় পানির প্রবাহ বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচে ছিল; যা দুপুরে বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। ফলে চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের সড়ক, আমন ক্ষেত ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।

পানি ঢুকে পড়েছে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে। এর মধ্যে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্দ্ধন এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, ফের প্লাবিত লালমনিরহাট


কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভোটমারী এলাকায় ইস্ট্রাকো সোলার প্যানেল স্থাপনের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে গেলে উপজেলা শহরও প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

সবশেষ ৩ অগাস্ট হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৫২ দশমিক ১২০ মিটার; যা বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ৫ সেন্টিমিটার বেশি বলে জানায় পাউবো।


আমার দেশ নিউজ