জাতীয় লীগ নিয়ে আপত্তি এনসিপির।
বাংলাদেশে জাতীয় লীগের নিবন্ধন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি। দলটির জহিরুল ইসলাম মুসা সাংবাদিকদের জানান, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জাতীয় লীগ কেন্দ্রীয় অফিসের অস্তিত্ব নেই, দলের কোনো গঠনতন্ত্র নেই। ওই দলের নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের কেউ চেনে না। মাঠে কোনো কর্মসূচিও নেই।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছিলাম—আপনারা এমন একটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন?… নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন।’
অ্যাপ দ্রুত চালুর দাবি
প্রবাসী ভোটারদের জন্য অ্যাপ চালু হতে দেরি হচ্ছে জানিয়ে জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আমরা তাগাদা দিয়েছি—চালু হতে দেরি হচ্ছে কেন? এই অ্যাপের ট্রায়াল ও এররের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, ইসি যে প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে, তাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ভোটের বাইরে থেকে যেতে পারেন। কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাপটি অক্টোবরের মধ্যে চালু করা হবে।
ভোটের আগপর্যন্ত ভোটার করার দাবি
খালেদ সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর বয়সীদের ভোটার নিবন্ধন চলবে। জেন-জি ও তরুণ ভোটারদের কথা ভেবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ভোটার হওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ হবে, শুধুমাত্র তারাই এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে—আমরা ইসিতে জানিয়েছি, এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনের দিন যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তারাও যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এবং ভোট দিতে পারেন।
ইসিও কি অনড়?
প্রতীক তালিকায় শাপলা না থাকায় এনসিপিকে তা বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না বলে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রতীক বেছে নেওয়ার তালিকাও দিয়েছে কমিশন।
এরপর ইসির তালিকা থেকে প্রতীক না নিয়ে ফের শাপলা প্রতীক নেওয়ার অনড় অবস্থানের কথা জানিয়ে ইসির চিঠির জবাবও দেয় এনসিপি।
বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে এ নিয়ে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এনসিপি প্রতিনিধিদল। পরে তারা নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদসহ অন্যদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত আলাদা বৈঠক করেন।
একই সময়ে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বৈঠক করেন।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।
দাবির মধ্যে ছিল—শাপলা কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং প্রতীক তালিকায়ও রাখা হয়নি। প্রতীক বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করেছে। আর ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিকল্প প্রতীক দেয়নি এনসিপি।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ওনাদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শাপলা প্রতীক তফসিলে নেই, এটা বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। ৩০ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি আমরা। এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত বলেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল… এখন ইসির কাছে কয়েকটি বিষয়ে তারা কথা বলেছেন। বিকল্প প্রতীক না দিলে ইসি নিজেরা প্রতীক দেবে বা অন্য সিদ্ধান্ত নেবে—এটা কমিশন ঠিক করবে।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সভা হলে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
নিবন্ধন পাচ্ছে এমন দলগুলোর নাম ও প্রতীকসহ নতুন দলের বিজ্ঞপ্তি কবে নাগাদ আসবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, “বিজ্ঞপ্তিটা দিতে আরেকটু সময় লাগবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কমিটি কাজ করছে।”
রাসেল হোসাইন মোল্লা 


0 Comments
Post a Comment